পরকিয়া গল্প

পরকিয়া গল্প

 আজ আমি আমার স্বামী রাশেদকে কাজের মেয়েটার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করার সময় দেখে ফেলেছি৷ শেষ রাতে কেন জানি ঘুম ভেঙ্গে গিয়েছিলো, দেখি পাশে রাশেদ নেই৷ ডাইনিং রুমে যেয়ে পানি খেলাম, কাজের মেয়েটা ডাইনিং আর রান্না ঘরের মাঝে ছোট একটা স্টোর রুমে থাকে৷ ওই রুমে লাইট জ্বালানো দেখে কৌতূহলবশত উঁকি মেরেছিলাম; দেখি রাশেদ মেয়েটার উপর চেপে বসে আছে৷ বেচারা এতোই ব্যাস্ত ছিল যে আমার ডাইনিং রুমে লাইট জ্বালানো, পানি ঢালা কিছুরই শব্দ পায়নি৷ ওকে কিছু বুঝতে না দিয়ে চুপচাপ বিছানায় এসে শুয়েছি৷ কাজ শেষ করে রাশেদ ও এসে শুয়েছে বিছানায়৷ ফজরের আজানের সময় আর থাকতে না পেরে উঠে দ্রুত ওয়াশ রুমে গেলাম৷ হর হর করে বমি করে বেসিন ভর্তি করলাম৷ তারপর চোখে মুখে ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিয়ে পরোটার জন্য ময়দা ছেনতে বসলাম আমি৷ সকালে ঘুম থেকে উঠে রাশেদ চা-নাস্তা খেয়ে সুন্দর ভাবে বের হয়ে গেল৷৷


আমি কি করবো কিছুই বুঝতে পারছি না৷ এই পরিস্থিতিতে অন্য কোনো মেয়ে হলে কি করতো আমি জানি না৷ হয়তো সবকিছু ছেড়ে ছুড়ে চলে যেত৷ কিন্তু আমি কার কাছে যাবো৷ আমার তো কেউ নেই তেমন, মা কে হারিয়েছি জন্মের পর পরই, আর বাবা কে পাঁচ বছর বয়সে৷ মামার বাড়িতে বড় হয়েছি আমি, তারাতো আমাকে বিয়ে দিয়ে আপদ বিদায় করেছে৷৷


রাশেদরা অনেক বড়লোক, দুই ভাই ওরা, বনানীতে ওদের নিজেদের ফ্ল্যাট, ইমপোর্ট-এক্সপোর্টের ফ্যামিলি বিজনেস ওদের৷ আমার শশুর শাশুড়ি দুইজনেই ইউকে থাকেন, রাশেদের বড় ভাই ভাবি সহ৷ ওনারা সবাই ওখানেই সেটলড, রেস্টুরেন্টের বড় ব্যবসা ওইখানে৷ বাংলাদেশের ব্যাবসাটা রাশেদই দেখে৷ আমার শ্বশুর শাশুড়ি অনেক কম আসেন দেশে, শেষ বার এসেছিলেন আমার আর রাশেদের বিয়ের সময়, বছর দুই আগে, আর রাশেদের ভাই ভাবি তো আসেনই না বলতে গেলে৷ ওনাদের সামনাসামনি দেখি নাই কোনো দিন, ভিডিও কল এ কথা বলেছি শুধু৷


আমি রাশেদের দ্বিতীয় স্ত্রী, প্রথম স্ত্রী বিয়ের তিন মাসের মাথায় চলে যায়৷ আমার শ্বশুর শাশুড়ি আমাকে নিজেরা পছন্দ করে বৌ বানান৷ বিয়ের সময় বুঝিনি, আমার মতো সাধারণ অনাথ কম লেখাপড়া জানা একটা মেয়েকে বাড়ির বৌ বানাতে এতো আগ্রহ কেন তাদের? এখন বুঝি, যাতে আমি তাদের লম্পট ছেলের সব কুকীর্তি মুখ বুঁজে সহ্য করি, ছেলের প্রথম বৌয়ের মতো সংসারের মুখে লাথি মেরে চলে যেতে না পারি, সেইজন্য আমাকে বৌ বানানো৷


রাশেদের চরিত্র যে খারাপ সেটা বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই বুঝতে পারি৷ রাশেদ মাঝে মাঝে ঢাকার বাইরে যেত, ব্যাবসার কাজ বলে৷ অচেনা নম্বর থেকে আমার কাছে ফোন আসতো, রাশেদ নাকি ওর সুন্দরী পিএ কে নিয়ে রিসোর্টে গেছে, রাশেদের কোনো শত্রু হয়তো আমাকে জানিয়ে দিতো রাশেদ বাসায় আসলে ওকে জিজ্ঞেস করলে অস্বীকার করতো, চেঁচামেচি করতো অনেক৷ বলতো আমি ছোট ফ্যামিলির, মনটাও ছোট, তাই সন্দেহ করি৷ রাশেদের প্যান্ট কাঁচতে যেয়ে, রিসোর্টের মেমো পেয়েছি এক বার৷ কিন্তু সবই মুখ বুঁজে সহ্য করেছি, আমার যে কিছুই করার নাই৷৷


বিয়ের পর কিছুদিন রাশেদ আমাকে অনেক আদর করতো, অফিস থেকে তাড়াতাড়ি বাসায় আসতো৷ বেড়াতে নিয়ে যেত মাঝে মাঝে, আসলে নতুন একটা মেয়ের শরীর আবিষ্কারের নেশা কাজ করছিলো তখন৷ নেশা টা কেটে যেতেই সব শেষ, আবার অন্য মেয়ের শরীর খোজার পালা৷ লাভের মধ্যে রাফিয়া চলে আসলো আমার পেটে৷ দুই বছরের সংসার আমার, মেয়ের বয়স এক৷


এতদিনতো তাও কিছু চোখে দেখিনি, কিন্তু কালকের ঘটনাটা সবসময় চোখের উপর ভাসছে৷ গা গুলিয়ে যাচ্ছে শুধু, বমি উঠে আসছে পেট থেকে৷ এতোটা নিচে নামতে পারে রাশেদ, কেন জানি বিশ্বাস হচ্ছে না৷


দুপুরে ভাত খাবার পরে রাফিয়া ঘুমিয়ে গেলে শুয়ে শুয়ে চিন্তা করছিলাম, কি করতে পারি আমি?


1. মামা-মামী কে সব কিছু জানানো৷ কিন্তু কোন লাভ নেই, এর আগেও বলেছিলাম, ওদের উত্তর হলো পুরুষ মানুষের একটু-আধটু দোষ থাকেই, মানিয়ে নিতে হয়৷


2. শ্বশুর-শাশুড়িকে জানানো...কি হবে জানিয়ে, একই কথা বলবে৷ বিয়ের পরপর সব বলতাম, ওদের উত্তর এডজাস্ট করে নাও৷


3. পুলিশ এর কাছে যাওয়া৷ কি লাভ, রাশেদ টাকা দিয়ে সব ম্যানেজ করে নিবে৷৷


4. রাশেদকে ডিভোর্স করে চলে যাওয়া৷ কিন্তু কোথায় যাবো আমি? লেখাপড়াও তো অতোটা জানি না, যে ভালো কোনো চাকরি যোগাড় করে নিবো৷


5. নিজেও রাশেদের মতো পরকীয়া শুরু করে দেয়া৷ তাতে কি লাভ, মনে শান্তি আসবে না৷ মন কিছুতেই সায় দিবে না, রাশেদ নোংরা কাজ করছে৷ আমি কেন নোংরা হবো?


6. রাশেদ কে মেরে ফেলা৷ এটাও কোন সমাধান না, রাশেদ মরলো...কিন্তু আমি কি পাবো? সারাজীবন জেলে পচে মরতে হবে, মাঝখানে রাফিয়ার জীবনটাও নষ্ট হবে৷৷


7. নিজে গলায় দড়ি নেয়া৷ কি লাভ? রাশেদ আরেকটা মেয়েকে নিয়ে আসবে বিয়ে করে৷ তার জীবনটা নষ্ট করবে৷৷


এমন কোনো উপায় কি নাই, যাতে সাপ ও মরবে আর লাঠিও ভাঙবে না৷ আসলে আমার তো কেউ নাই পরামর্শ করার মতো, আশ্রয় দেয়ার মতো৷৷


আমার জীবনের গল্পটা সুন্দর করে গুছিয়ে লিখে একটা সোশ্যাল মিডিয়ার গ্রুপে পোস্ট করে দিলাম অনেকে অনেক রকম পরার্মশ দিলো, কোনটা ভালো, কোনটা খারাপ, কোনটা হাস্যকর৷ কেউ কেউ আবার বললো, এক হাতে তালি বাজে না, তোমার ও দোষ আছে!


তবে একটা পরার্মশ আমার মনে ধরলো খুব৷ সেই অনুযায়ী অ্যাকশন ও নিলাম, ফল পেলাম হাতে নাতে৷


আমার জীবনের গল্পটা অন্য রকম হয়ে গেল,


আজ রাফিয়া ও লেভেল পাশ করলো৷ অনেক ভালো রেজাল্ট করেছে, ইউকে থেকে ওর দাদা-দাদি, চাচা-চাচী ওকে কংগ্রাচুলেট করেছে৷ আমার খুব গর্ব হয় রাফিয়াকে নিয়ে, একদম তোমার মতো হয়েছে দেখতে৷ দেখতে দেখতে বড় হয়ে গেল মেয়েটা, তুমি চলে যাওয়ার ও অনেকদিন হলো রাশেদ৷ তুমি সুইসাইড করার পর তোমার আব্বু চেয়েছিলো বাংলাদেশের ব্যবসাটা গুটিয়ে নিতে৷ আমি তা হতে দেয়নি, শক্ত হাতে হাল ধরেছি৷ তোমাদের ব্যবসা ফুলে ফেঁপে উঠেছে তিন গুন৷ আমার চোখে এখন চশমা উঠেছে, মাথার চুলেও পাক ধরেছে, আগের সেই ঢলঢলে রূপ আর নাই৷৷


সেদিনের কথা মনে করলে হাসি পায়, ছেলেমানুষি মনে হয় ব্যাপারটা৷ সোশ্যাল মিডিয়ার গ্ৰুপের একজনের বুদ্ধি শুনে, তোমার আন্ডারওয়ারে চুলকানির ওষুধ লাগিয়ে দিয়েছিলাম৷ অফিস থেকে কুঁচকি চুলকাতে চুলকাতে বাসায় ফিরলে তুমি৷ জামা-প্যান্ট ছুড়ে ফেলে ডাক্তারের সাথে ফোনে কথা বললে, আমি শুনেছিলাম তোমার কথা কিছুটা৷ তোমার যে নিষিদ্ধ পল্লীতে যাতায়াতের অভ্যাস আছে, সেটা ঐদিন প্রথম জেনেছিলাম৷ ডাক্তার তোমাকে বলেছিলো ওইরকম মেয়েদের কাছ থেকে ইনফেকশন হতে পারে৷ যাইহোক ওই দিন ডাক্তারের পরামর্শের ওয়েন্টমেন্ট আমি কিন্তু তোমার কুঁচকি আর প্রাইভেট পার্টস এ লাগিয়ে দিয়েছিলাম৷ রাত জেগে তোমার পাশে বসেছিলাম, কিন্তু তুমি এর কি প্রতিদান দিলে? তিনদিন পর সুস্থ হয়ে অফিসে গেলে, তার একদিন পর পিএ কে নিয়ে ঘুরতে গেলে৷৷


জানো রাশেদ, পরের দুই মাসে আরো তিন বার তোমার আন্ডারওয়ারে ওই পাউডার লাগিয়ে দিয়েছিলাম৷ ডাক্তারের নির্দেশ মতো তোমার সব কিছু প্রতিদিন আমি কেচে দিতাম৷ তুমি আমাকে এতটুকু সন্দেহ করোনি, করবে কিভাবে...আমাকে তো মানুষই ভাবতে না তুমি৷ একটা অনাথ কম লেখাপড়া জানা নিচু ফ্যামিলির মেয়ে আমি, তোমার বাড়িতে বাচ্চা পালবো, সংসারের কাজ করবো, তোমার পছন্দের খাবার রান্না করবো৷ আর তুমি বাইরে বাইরে যা খুশি তাই করে বেড়াবে, ফুর্তি করবে, আমি প্রতিবাদ করলে বাড়ি থেকে বের করে দিবে৷ তুমি তো জানতে, আমার যাওয়ার জায়গা নেই, আমি ফিরে আসবো তোমার কাছে৷ আমি তোমার খেলার পুতুল, কিংবা পোষা কুকুর ও বলতে পারো, সবসময় তোমার সেবা করে যাবো...তোমার সব অপকর্ম মুখ বুজে সয়ে৷ সেই মেয়ে যে অত্যান্ত সুকৌশলে, তোমার সাথে এমনটা করবে সেটা তোমার চিন্তাতেও আসেনি৷৷


তাছাড়া তোমার মনে ভয় ছিল রাশেদ৷ এখানে-সেখানে কম জায়গার, কম মেয়ের সাথে তো তুমি শুয়ে বেড়াওনি...বাসার কাজের মেয়েটাও তোমার হাত থেকে রেহাই পেলো না৷ এদের কারো কাছ থেকে ইনফেকশন তোমার হতে পারে এই ভয়টা তোমার ছিল৷ তোমার কুঁচকি থেকে শুরু করে ওই জায়গা গুলো লাল হয়ে ঘা হয়ে গিয়েছিলো৷ পরে আর আন্ডারওয়ার পড়তে পারতে না তুমি, ঢোলা প্যান্ট পরে অফিস যেতে৷ আস্তে আস্তে অফিসের অনেকেই জানতে পারলো ব্যাপারটা, তোমার সুন্দরী পিএ রাও আর তোমার সাথে ট্যুর এ যেতে রাজি হলো না৷ অনেকেই বলাবলি করতে লাগলো, তোমার নাকি খারাপ যৌন রোগ হয়েছে, গুজব তো এই ভাবেই ছড়ায়৷


তারপরও তুমি বদলেছিলে না, একদিন রাতে কাজের মেয়ের চিৎকার শুনে ঘুম ভেঙ্গে ছিল আমার৷ উঠে যেতেই মেয়েটা কাঁদতে কাঁদতে তোমার নামে নালিশ দিলো, ও তো জানতো তোমার খারাপ অসুখ৷ ওইরাতে খুব লজ্জা পেয়েছিলে তুমি৷ পরের দিন সকালে এসে তুমি আমার কাছে হাত পা ধরে মাপ চাইলে৷৷


ওইদিন বিকালে রাফিয়া কে নিয়ে মার্কেটে যাচ্ছিলাম, কাজের মেয়েটা এসে বললো, ওর তোমার সাথে একা বাসায় থাকতে ভয় লাগে৷ ওকেও সাথে নিয়েছিলাম, সব দেখে শুনে শুকনো মুখ করে বসে ছিলে তুমি৷ আমাকে বললে, তাড়াতাড়ি ফিরো৷


ওইটাই তোমার সাথে আমার শেষ কথা ছিল রাশেদ, আমি সেটা ভাবিনি কখনো৷ মার্কেট থেকে ফিরে তোমার কোনো সাড়া না পেয়ে দারোয়ান ডেকে দরজা ভেঙ্গে ফ্যান এর সাথে ঝুলতে থাকা তোমার প্রাণহীন দেহটা দেখে চিৎকার করে উঠেছিলাম৷


মাঝে মাঝে খুব জানতে ইচ্ছা হয় রাশেদ, কি সুখ পেতে তুমি ওই সব মেয়েদের কাছ থেকে? আমি তো অনেক সুন্দরী ছিলাম, রাফিয়ার মতো ফুটফুটে একটা মেয়ে ছিল আমাদের৷ ওদের সাথে শোয়ার সময়, আমার না হোক...রাফিয়ার মুখ কি তোমার চোখে ভেসে উঠতো না রাশেদ?


জানো রাশেদ, আমি এখন আর কম লেখাপড়া জানা মেয়ে না৷ ব্যবসা সামলানো, রাফিয়াকে মানুষ করার পাশাপাশি উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্সটাও কমপ্লিট করে ফেলেছি৷ কাজের পাশাপাশি প্রচুর বই পড়ি, বাসায় একটা ছোট একটা লাইব্ৰেরি ও দিয়েছি৷ যে সোশ্যাল গ্রুপটাতে তোমার-আমার কথা প্রথম লিখে ছিলাম, ওই গ্রুপে লেখা লিখি করি নিয়মিত৷


আমি একটা ছোট্ট এনজিও খুলেছি রাশেদ, যে সব মেয়েরা ডোমেস্টিক ভায়োলেন্সের শিকার, অথচ তাদের পাশে কেউ নেই, সেই সব মেয়েদের পাশে দাড়ায় এনজিও টা৷ একটা এতিম খানাও আছে আমার, গোটা পঞ্চাশ এতিম শিশু থাকে সেখানে৷ কিছুদিন আগে একটা অনলাইন নিউজ পেপার থেকে আমার সাক্ষাৎকার নিয়েছে৷ তোমার সেই অনাথ কম লেখাপড়া জানা মেয়েটি এখন অনেক কিছুর সাথে জড়িত৷


তারপরও আমার সবচেয়ে গর্বের জায়গা কোনটা জানো রাশেদ ?...সেটা হলো রাফিয়া৷ ওকে নিয়ে এখন আমি তোমার ছবির সামনে দাড়িয়ে আছি, একজন গর্বিত মা হিসাবে৷ আমাদের দুই জনের সাথে তুমিও থাকতে পারতে রাশেদ, একজন গর্বিত বাবা হিসাবে৷ তোমার জন্য দুঃখ হয় রাশেদ, দুই মিনিটের বিছানার সুখের জন্য এতো সুন্দর আর আনন্দময় একটা জীবন তুমি মিস করলে৷ ওই সব সম্পর্ক কখনোই সুখ বয়ে আনে না এটা তুমি বুঝলে না৷ সৎ ভাবে, সুন্দর ভাবে, স্ত্রী-কন্যার কাছে বিশ্বস্ত থেকে বেঁচে থাকা যে কতটা মজা সেটা তুমি জানলে না৷


  **নতুন নতুন রোমান্টিক গল্প পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: কাব্য কথা  


আমি লিরা খান, মরহুম রাশেদ খানের স্ত্রী, রাফিয়া খানের মা, আমার জীবনের গল্পটা আপনাদের শোনালাম | হয়তো বিধাতা চেয়েছিলো বলেই আমার জীবনের গল্পটা এমন হলো, না চাইলে রাশেদের হাতে ধরা পড়ে গল্পটা অন্য রকম হয়ে যেত৷ এমন হাজারো লিরা সমাজের আনাচে-কানাচে রাশেদ নামের পাপের বোঝা কাঁধে নিয়ে, দীর্ঘ নিঃশ্বাস হাসি দিয়ে ঢেকে নিরাপত্তার উষ্ণতা দিয়ে ঢাকছে যন্ত্রনা...তাদের খবর তো কেউ রাখে না৷ এই সব লিরাদের বাঁচাতে হলে রাশেদদের মানসিকতা বদলাতে হবে, স্ত্রী হিসাবে না পারলেও, মা হিসাবে ছেলের মানসিকতা টা গড়ে দেয়ার 

চেষ্টা করুন, এই প্রত্যাশা থাকবে৷


"যৌনতা জীবনের সবকিছু না৷"


বাস্তব জীবনের গল্প পড়ুন।