ভালোবাসা কষ্টের গল্প

ভালোবাসা কষ্টের গল্প

📌(কথা দিলাম ভালো লাগবে)📌

-সে/ক্স করতে হবে আমার সাথে ⛔

--হোয়াট?কি বলছো এসব তুমি?

-যেটা বললাম তাতো শুনলেই।

--এটা আমি পারবোনা নীল।

-ঠিক আছে, তাহলে তোমার সাথে সম্পর্কের শেষ এখানেই।

--কি? কি বলছো তুমি?মাথা ঠিক আছে তোমার?

-হ্যাঁ, আমার মাথা একদম ঠিক আছে।

--আগে তো কখনোই এমন বলোনি,তাহলে এখন হঠাৎ করে এমন করছো কেন?

-দেখো আমি এতো কথা শুনতে চাচ্ছি না। রাজি না হলে রিলেশনের এখানেই ইতি টানছি।

--আমাদের ৩ বছরের রিলেশন কিভাবে এতো সহজে শেষ করে দিতে পারো?

-হ্যাঁ,পারি। তুমি রাজি হবে? নাকি রিলেশন শেষ করবো এখানেই?

--তুমি যাই করোনা কেন, আমি তোমার নোংরা প্রস্তাবে কিছুতেই রাজি হতে পারবোনা।

-ওকে বাই, ভালো থেকো।

--হ্যালো নীল? হ্যা.....

ফোন কেটে দেয় নীল। তানহার সাথে তার প্রায় ৩ বছরের সম্পর্ক। নীল আগে কোনোদিন তানহার সাথে এরকম আচরণ করেনি,বা এমন কোনো কথাও বলেনি। তাই তানহা বার বার অবাক হচ্ছে যে কিভাবে এতো শান্তশিষ্ট একটা ছেলে এতোটা বদলে যেতে পারে? ও তো কখনো স্পর্শই করেনি তানহাকে, তাহলে হঠাৎ কেন রুম ডেট করার কথা বলছে? এটা কিছুতেই মেনে নিতে পারছেনা তানহা।

বারবার নীলকে কল করে কিন্তু নীল রিসিভ করে না। প্রায় ৭ দিন হয়ে গেলো, নীল একটা বারও কল করেনি তানহাকে। কিন্তু সেতো তানহাকে খুব ভালোবাসতো, তাহলে কেন এমন করছে? সত্যিই কি ভালোবাসতো? নাকি শুধু নাটক করছিলো এতোদিন? তানহা আর ভেবে পারছেনা।

এক সপ্তাহে হাজার বার কল করেছে নীলকে, যদি কখনো কল রিসিভ করে তাহলে নীল শুধু এটাই বলে যে "কেন কল করেছো? বললাম না আমার সাথে তোমার সম্পর্ক শেষ? তাহলে অহেতুক জ্বালাচ্ছো কেন?"

তানহা অনেক বুঝানোর চেষ্টা করে নীলকে, কিন্তু নীল আর আগের মতো নেই। সত্যিই বদলে গিয়েছে সম্পুর্ণ। কিন্তু তানহা যে খুব ভালোবাসে তাকে, নীল ভালোবাসুক বা নাই বাসুক, সে কিভাবে ভুলে যাবে তাকে?

--হ্যালো নীল?

-কেন আবার ফোন করেছো? কতোদিন বলবো আমাকে ডিস্টার্ব করবেনা?

--নীল প্লিজ একবার আমার কথা তো শোনো?

-কি কথা শুনবো তোমার? তুমি তো ভালোই বাসোনা আমাকে। ভালোবাসলে অবশ্যই রাজি হতে।

--প্লিজ বিশ্বাস করো নীল, আমি খুব ভালোবাসি তোমাকে। আমাকে এভাবে কষ্ট দিয়োনা। তুমি কিভাবে আমার সাথে কথা না বলে থাকতে পারছো? একটু কি খারাপ লাগেনা আমার জন্য?

-না লাগেনা, আর প্লিজ শেষ বারের মতো বলছি আমায় দয়া করে আর বিরক্ত করবেনা। বাই..

--হ্যালো নী...

তানহার কান্না যেন আর থামতে চায় না। নীল কিভাবে এমন করছে তার সাথে? সে তো এই ৩টা বছরে কখনোই তার সাথে এরকম বিহ্যাভ করেনি। কিন্তু এখন বারবার ধমক দিচ্ছে তাকে। ২দিন পরে সে আবার কল করে নীলকে ...

--হ্যালো নীল?

-আবার কি? বারবার বিরক্ত করো কেন?

-- আমি রাজি তোমার কথায়।

-সত্যিই! সত্যি রাজি তুমি?

--হুম, রাজি।

- আমি জানতাম তুমি রাজি হবেই। আমায় এতো ভালোবাসো তুমি? লাভ ইউ বাবু।

--হুম ভালোবাসি তোমাকে খুব। তাই ছেড়ে যেতে পারছিনা। এখন বলো কোথায় যেতে হবে?

-তোমার ইনবক্সে একটা ঠিকানা দিচ্ছি, ওখানে চলে এসো। আমার এক বন্ধুর ফ্লাট, আজ বাসায় কেউ নেই।

--আচ্ছা ঠিক আছে আমি আসছি।

নীলের দেওয়া ঠিকানা অনুযায়ী তানহা চলে যায় সেখানে। গিয়ে দেখে নীল আগে থেকেই বসে আছে।

-এতক্ষণে আসার সময় হলো তোমার?

--সরি, রাস্তায় একটু জ্যাম হয়েছিলো।

-আচ্ছা তুমি কি সত্যিই রাজি?

--হুম বাবু রাজি।

-ভেবে বলছো তো?

--হুম,অনেক ভেবেছি, তোমাকে ছাড়া আমি থাকতে পারবোনা।

-(ঠা"সসসসসসস)👋 তুই ভাবলি কি করে যে আমি এরকম জঘন্য একটা কাজ করবো?

--(মুখে হাত দিয়ে অবাক হয়ে নীলের দিকে চেয়ে আছে তানহা)

-এতো দিনে এই বিশ্বাস হলো আমাকে? কিভাবে ভাবলি আমি তোর জীবন নষ্ট করবো? আমার বাড়িতেও একটা ছোট বোন আছে, তার সাথে কেউ এমন করলে কি মানতে পারতাম আমি? তাহলে আমি কেন অন্য মেয়ের জীবন নষ্ট করতে যাবো?

এতক্ষণে তানহার চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়েছে। সে আর পারলোনা নিজেকে সামলাতে। সোজা জড়িয়ে ধরে তাকে, "আই লাভ ইউ নীল, লাভ ইউ সো মাচ"

-চলো বাড়ি পৌঁছে দিয়ে আসি তোমাকে।

এখনকার ভালবাসাটা মানেই রুমডেট। 

--মেয়েরা ভালবাসার টানে বাধ্য হয় তাদের সবটুকু দিতে, কিন্তু আপনি কখনো ভেবেছেন কি আপনার ও বোন আছে সে ও একটা মেয়ে।

আর মেন্টাল মেয়েরা তোমরা কি এটা বোঝ না,যে 

ছেলে বিয়ের আগে রুমডেট করতে চাই , সে তোমাকে না, তোমার দেহ কে ভালোবাসে।তারপরও কেনো যাও দেহ বিলিয়ে দিতে। জানি কথাগুলো আপনাদের কাছে ভালো লাগে নি,তবে যেটা সত্যি সেটাই তুলে ধরার চেষ্টা করলাম।❤️

সমাপ্ত


এমন আরও অনেক কষ্টের ভালোবাসার গল্প পড়ুন।