পরকিয়া প্রেম

পরকিয়া প্রেম

কিরে শরীফ তোর হাতে কি ওটা ক*ন,ড*ম নাকি?

হাঁ, ক*ন,ড*ম কোনো তুমি দেখতে পাচ্ছো না? নাকি আজ কাল চোখে কম দেখো?

কিন্তু তুই ক*ন,ড*ম দিয়ে কি করবি? তোর তো বউ নেই?

বউ নেই তাতে কি তুমি আছো না।

মানে কি?তূই কি বলতে চাইছিস?

এতো ন্যাকামি করো না। তোমার কি মনে হয় আমি বোকা?ভাই দিদেশ আর তুমি শাড়ী পড়ে আমার সামনে সামনে বার বার শাড়ীর আঁচল ঠিক করো নাভী বেড় করে হাঁটো ।

এসব করে আমাকে আকৃষ্ট করো সেটা কি আমি বুঝতে পারি না ভাবছো?তাই ক*ন*ড*ম নিয়ে আসলাম।আজ তুমার সাথে রোমান্টিক করবো।

আমি কি একবারও বলছি তোর সাথে রুমান্টিক করবো?

মুখ ফুটে বলতে হবে কোনো? তুমি আমাকে ইংগিত দিচ্ছো আমি কি সেটা বুঝতে পারি না?

আরে আমি ঔসব করতে পারবো না।

পেটে ক্ষুধা আর মুখে বলছো না? আমি কি আজ রাতে তোমার রুমে আসবো। তুমি দরজাটা লক করবে না কিন্তু।

শরীফ আমার খুব ভয় করছে।কেউ যদি দেখে পেলে তখন কি হবে বুঝতে পারছিস?

আরে কিছু হবে না, সবাই ঘুমিয়ে গেলে আমি আসবো।

ওকে,, আমার স্বামী বিদেশ চলে যাওয়ার পর শরীফ কে বন্ধু মনে করতাম।

একটু একটু করে ওর সাথে বন্ধুত্ব গভীর হতে থাকে।

তাই বলে ও এই সব ভাববে?যাই হোক আমারও তো মন চাইছে।

একটু না হয় রুমান্টিক করি। তাকে খুব বেশি ক্ষতি হবে না।

আজ ভাবীর সাথে রোমান্টিক করবো মনের মাঝে খুশির ঢেউ খেলে যাচ্ছে। রাতের জন্য অপেক্ষা করছি।রাত হলে সবার ঘুমানোর অপেক্ষা করছি। কিছু সময়ের মধ্যে সবাই ঘুমিয়ে পরলো। আমি এবার আস্তে আস্তে ভাবীর রুমের সামনে আসলাম। দরজায় হাত রাখতেই বুঝলাম দরজা ভিতর থেকে লক করা। আমি আস্তে আস্তে ভাবীকে ডাকতে শুরু করলাম।

ভাবী,ও ভাবী দরজা খোলো।

কে?

ভাবী আমি শরীফ। দরজা খোলো। ভাবী দরজা খুলে দিলো। আমি তোমাকে দরজা খুলে রাখতে বলছিলাম না?

মনে ছিল না।

আমি দরজা লক করে দিয়ে এসে ভাবীকে ধরে বেডে শুয়ে দিলাম।

ক*ন*ড*ম কই এনেছিস?

ও সেটার কথা একদম ভুলে গেছি।

যা গিয়ে নিয়ে আয়।আরে ভাবী একন যেতে মন চাইছে না।আজ ক*ন*ড*ম ছাড়াই করবো।

যদি কিছু হয়ে যায়?আরে কিছু হবে না। টেনশন করো না তো। তাছাড়া এটা আমার ফাস্ট টাইম। প্রোটেকশন দিয়ে করলে তুমি মজা পাবে না। তখন বলবে তুই কিছু পারিস না।

ঠিক তো কিছু হবে না?

আরে না কিছু হবে না। তাছাড়া কিছু হলে আমি আছি তো। এবার আসো তোমাকে আদর করা শুরু করি।

আমার স্বামী বিদেশ গেছে দুই বছর হয়ে গেছে। শরীফ আমার সাথে অনৈতিক খেলায় মেতে উঠেছে। আমাদের দুইজনের মাঝে আজ আর কোনো দুরত্ব রইলো না। অবশ্য আমি যদি শরীফকে বাধা দিতাম তাহলে ও কিছুতেই আমার সাথে এমন প্রেম প্রেম খেলায় মেতে উঠতে পারতো না।আমাও যে সম্পুর্ন মত ছিলো। শরীফ আমার থেকে তিন বছরের ছোট। দুই বছর পর ইন্টিমেন্ট হলাম।ব্যথাও লাগছে পচন্ড। তবুও সবটা সহ্য করে নিলাম।

ভাবী আমার হয়ে গেছে এবার আমি আমার রুমে যাই।

ঠিক আছে যা। আমি খুব ব্যথা পেয়েছি রে।

শুধু ব্যথা পেয়েছো? একটুও মজা পাওনি?

ব্যথাও পেয়েছি আর মজাও পেয়েছি।

ওকে তুমি থাকো আমি আমার রুমে গেলাম। কালকে আবার আসবো।

সকাল বেলা আমার রুম থেকে দাঁত ব্রাশ করতে করতে বের হলাম। দেখি ভাবী খুড়িয়ে খুড়িয়ে হাঁটছে। আমি প্রথম কারো সাথে এন্টিমেন্ট হলাম।তাই খুব লজ্জা করছে। কিন্তু ভাবীর মাঝে লজ্জা লাল ও দেখতে পেলাম। অদ্ভুদ মহিলা। এভাবে প্রায় প্রতিদিন আমি আর ভাবী ইন্টিমেন্ট হই। কেটে গেলো আড়াই মাস।মা আমাকে রান্না ঘরে ডাকলো।

মা আমাকে ডাকছো? কিছু বলবা?

হে বলার জন্যই তো ডাকছি।তোর ভাবীর শরীরটা খুব খারাপ।তুই বউমাকে নিয়ে একটু ডক্টরের কাছে যা। কিরে পারবি তো?না হলে যে আমাকেই যেতে হবে।তুই তো জানিস আমার শরীরটাও তেমন ভালো না।

ভাবীর অসুস্থ শুনে বুকের ভিতরে ভয়ে ছ্যাত করে উঠলো। হঠাৎ ভাবী অসুস্থ হওয়ার কারণ কি? তাহলে,,,,

কিরে কথা বলছিস না কোনো?পারবি না তুই?

হ্যা মা পারবো তুমাকে যেতে হবে না। ভাবী যাও রেডি হয়ে আসো।

আমি রেডি আছি।চলো যাই।

ভাবীকে নিয়ে বাসায় থেকে বের হয়ে একটা রিকশায় উঠলাম। ভাবী আমি যা ভাবছি তুমিও কি তাই ভাবছো?

হ্যা আমিও তাই ভাবছি। সত্যি যদি এমন কিছু হয় তাহলে কি হবে শরীফ?আর তোর ভাইয়া যদি জানতে পারে তাহলে তোকে আমাকে দুইজনে মেরে ফেলবে।

আরে চুপ করো তো কিছু হবে না। তুমি আমি যা ভাবছি সেটা তো নাও হতে পারে।

চলে আসলাম একজন মহিলা ডক্টরের কাছে।ডক্টর ভাবীকে দেখে কিছু পরীক্ষা করলো। সেগুলো করিয়ে আমরা রিপোর্টের জন্য ওয়েটিং রুমে অপেক্ষা করছি। ঘন্টা খানেক পর রিপোর্ট আসলো।

রিপোর্ট নিয়ে আমি আর ভাবী ডক্টরের চেম্বারের আসলাম।ডক্ট রিপোর্ট দেখে আমাকে জিজ্ঞেস করলো ?

রোগী আপনার কি হয়?

জি ম্যাডাম শরীফ আমার দেবর হয়। কিন্তু কোনো ম্যাডাম?

আপনার স্বামী কোথায়?এই সময় মেয়েদের পাশে তার স্বামী থাকা খুব প্রয়োজন।

কোনো ম্যাডাম ভাবীর কি হয়েছে?

আপনাদের জন্য সুখবর আছে। আপনার ভাবী মা হতে যাচ্ছে।এই সময় কিন্তু খুব সাবধানে থাকতে হবে। আমি কিছু ঔষধ লিখে দিচ্ছি।নিময় করে খাবেন।

ডক্ট ম্যাডামের কথা শুনে আমি আর ভাবী বিম্মিত হলাম।একরাশ হতাশা নিয়ে দুজন দুজনের দিকে তাকালাম। ভাবীর চোঁখের ভাষা বলে দিচ্ছে,সে আমাকে অপরাধী মনে করছে।

আচ্ছা ম্যাডাম আমরা আসি।

ভাবীর সাথে সারা রাস্তা আর কোনো কথা বলিনি। বাসায় আসার পর মা জিজ্ঞেস করলো।

বউমার কি হয়েছে শরীফ?

না মা তেমন কিছু না। একটু দুর্বল শরীরটা ঠিক মতো খাওয়া দাওয়া করলে ঠিক হয়ে যাবে।ডক্ট ঔষুধ দিয়েছে সেগুলো নিয়মিত খেতে বলেছে।

যাক বাপ টেনশন মুক্ত হলাম। খুব টেনশন হচ্ছিল।কি না কি হয়েছে ভেবে।

নিজের রুমে বসে বসে ভাবছি এটা আমি কি করলাম। এখন কি হবে? শরীফের ভাই আমাকে কতো ভালোবাসে অথচ তাকে আমি এইভাবে ঠকালাম?

যাই হোক এই সন্তানকে আমি পৃথিবীতে আনবো। শরীফের সাথে কথা বলতে হবে।ও পারবে সব কিছু ঠিক করে দিতে।

রাতে সবাই ঘুমিয়ে গেলে আমি শরীফরে রুমে আসলাম ‌।

ভাবী তুমি আমার রুমে এতো রাতে কোনো এসেছো?

কোনো এসেছি বুঝতে পারছো না?

হ্যা বুঝতে পারছি ‌। ভাবী একটা কাজ করো তুমি বাচ্চাটাকে এ্যাভোশন করে ফোলো। তাহলে সব ঝামেলা মিটে যাবে।

তার উপর আজ ভাইয়ার সাথে কথা হয়েছে সে দুই মাস পর দেশে আসবে, তুমি এ্যাভোশন করিয়ে নিলে ভাইয়া আসার আগে সুস্থ হয়ে যাবে।

এসব তুই কি বলছিস? আমি এই বাচ্চা এ্যাভোশন করতে চাইছি না। আমি বাচ্চাটাকে পৃথিবীতে আনতে চাইছি।

তুমি পাগল হলে গেছো?সেটা কি করে সম্ভব?

কোনো তুই আমাকে বিয়ে করবি। তাহলেই ঝামেলা মিটে যাবে।

তুমি পুরোপুরি পাগল হয়ে গেছো? কি বলছো তুমি সেটা বুঝতে পারছো? ভাবী পাগলামি করো না বাচ্চাটাকে এ্যাভোশন করে নেও সময় থাকতে।

তাহলে তুই আমার কথা মানবি না তাই তো?

প্রশ্নই আসে না।

ওকে দেখ আমি তোথ কি হাল করি। আমি সবাকে কেঁদে কেঁদে বলবো তুই আমার সাথে জোরজবরদস্তি করেছিলি ‌।যায় ফলে আমি প্রেগন্যান্ট হয়ে গেছি। এখন তোকে বিয়ে করতে বলছি কিন্তু তুই বিয়ে করতে অস্বীকার করছিস। আমি যদি কেঁদে কেঁদে এই সব কথা গুলো বলি তাহলে তোর কি অবস্থা হবে বুঝতে পারছিস? সুতরাং আমার কথা মনে নে।

ভাবীর কথা শুনে ৪৪০ভোল্টে একটা শক খেলাম। ভাবী আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে কিন্তু অপরাধী কি আমি একাই তার কোনো দোষ ছিলো না? এর একটা সমাধান বের করতে হবে।যাই হোক এক কথা মেনে নিয়ে তার ঘুখ বন্ধ রাখী। আচ্ছা ভাবী আমি তুমাকে বিয়ে করবো। এখন তুমি তুমার রুমে যাও।

কথাটা যেনো মনে থাকে‌। হ্যা মনে থাকবে।

ভাবী চলে গেলো। আমি বিছানায় শুয়ে শুয়ে প্লান করতে লাগলাম কি করে এই সমস্যা সমাধান করবো।মাথায় কিছু বুদ্ধি সাজিয়ে নিলাম। এখন ভাবছি ভাইয়ার কথা । ভাইয়া বিদেশ থেকে কতো কষ্ট করে আমাকে লেখা পড়া শেখাচ্ছে সমস্ত চাহিদা পূরণ করছেন।সে যদি জানতে পারে তার সাথে আমি এমন অন্যায় করছি তাহলে সে আমাকে কি ভাববে আল্লাহ জানে।

পরে দিন ভাবী কে বললাম, ভাবী শোনো তোমাকে নিয়ে পালিয়ে যাবো রাতের অন্ধকারে । তুমি শুধু সাথে করে টাকা নিবা আর কিছু নিবা না কিন্তু?

আর কিছু কোনো নিবো না।

কারন আমরা সব কিছু নতুন করে শুরু করবো।তাই পুরনো সব কিছু ফেলে রেখে যাবো। আমাদের নতুন জীবনে পুরানো কোনো ছোঁয়া থাকবে না।

ঠিক আছে তুই যা বলবি তাই হবে। তবে তোকে অনেক ধন্যবাদ আমাকে আর আমার বাচ্চাকে মেনে নেওয়ার জন্য।

মেনে না নেওয়ায় কি আছে। তোমার পেটের বাচ্চাটা তো আমারই।

হ্যা তাও ঠিক।

এবার তুমি তোমার রুমে যাও টাকা পয়সা গুছিয়ে নেও।আজ রাতেই আমরা পালাবো।

ঠিক আছে।

রাত ১২টা আমি ভাবীকে নিয়ে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে পরলাম।আমরা মেইন রাস্তায় এসে পরেছি। কিছুটা পথ হাঁটতেই সামনে নদী। একটা গাছ দেখে থেমে গেলাম।

কি হলো এখানে থামলি কোনো?

একটা কাজ আছে। আমি আমার পকেট থেকে রুমালটা বের করে তাতে ক্লোরোফম মেখে নিলাম। এরপর ভাবীর নাকের কাছেই ধরতেই ভাবী জ্ঞান হারালো। আমি ভাবীকে গাছের সাথে চেপে ধরে একহাত দিয়ে গলা টিপে ধরলাম। কিছু সময় পর বুঝতে পারলাম আর শ্বাস চলছে না।তার মাকে আমার প্ল্যান সাকসেসফুলি হয়েছে। এবার ভাবীর লাশটা টানতে টানতে নদীর দিকে নিয়ে যাচ্ছি। হঠাৎ তিন চার জন লোক আমার দিকে লাইট মারলো। আমাদের এমন অবস্থা দেখে চিৎকার শুরু করে দিলো। আমি আর পালাতে পারলাম না। লোকজন ঝরো হয়ে আমাকে ধরে পুলিশে দিলো।

ভাবছিলাম ভাবীর লাশ নদীতে ফেলে তার টাকা পয়সার নিয়ে পালিয়ে যাবো। কিন্তু তার কিছু হলো না। অনৈতিক কাজের সাজা শুনছি জেলে বসে বসে।আর অনুশোচনা পুড়ে যাচ্ছি। এখন দিন শুনছি কবে ফাঁ*সির আদেশ আসবে।

     ,,,,,,,,,,,,,,,,,,,সমাপ্ত ,,,,,,,,,,,,,


গল্প,,,,ভাবীর সাথে পরকীয়া।


এমন সব ধরনের গল্প পড়ুন।