মজার পোস্ট

মজার পোস্ট

--- বাবু,ভিডিও কলে ৫০০,সরাসরি ১০০০ এটার মানে কী রে??🙄🤔


বন্ধুদের সাথে বারান্দায় বসে ফেইসবুকে আড্ডা দিচ্ছিলাম।বাবার প্রশ্নটা শুনে মাথা ভনভন করে ঘুরতে লাগলো আমার।😨


--- অ‌্যাহ!কি বলছো এসব?কোথা থেকে শুনলে?😐

--- সেদিন নতুন ফেইসবুক আইডি খুলে দিলি না।একটা মেয়ে মেসেজ দিয়ে বলছে ভিডিও কলে নাকি ৫০০ দিবে আর সরাসরি ১০০০!

--- তো,তুমি কি বললে?

--- কিছু বলি নি,তোর কাছে সেইজন্য জানতে চাইছি।

--- তোমার ফোনটা দাও তো আমার কাছে,

--- কেনো কি করবি?

--- আরে দাও না।


বাবার থেকে ফোনটা নিয়ে আগে মেয়েটাকে ব্লক করলাম।যদিও বাবা এসবের কিছু বুঝবে না।তারপর তাকে বলি,


--- দেখো বাবা,এটা হলো একটা বিজনেস।তুমি যদি তার সাথে ভিডিও কলে কথা বলো বা গল্প করো তবে ৫০০ টাকা দিবে,আর যদি সামনাসামনি বসে কথা বলো বা গল্প করো তাহলে আরোও বেশী টাকা পাবে।সিম্পেল!☺


কোনোরকম ভুজুংভাজুং দিয়ে বাবাকে শান্ত করলাম।নয়তো আজ ছাড়তোই না আমায়।আর মেয়েটাকেও যেহেতু ব্লক করা হয়েছে।ব্যাস,এবার আমি নিশ্চিত।আর কোনো চিন্তা নেই।🙂

পরেদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই দেখি ভিডিও কল আর মেসেজ নোটিফিকশনের চাপে আমার ফোনটা আধমরা অবস্থা।তরিঘরি করে ফেইসবুকে ঢুকে দেখি আমার বাবা পুরো ভাইরাল।একটা ঐতিহাসিক পোস্ট তার টাইমলাইনে প্যান্ডুলামের মতো ঝুলছে,


       "নতুন অনলাইন বিজনেস শুরু করলাম বন্ধুরা।

           😌ভিডিও কলে ৫০০,সরাসরি ১০০০।

             Business Idea By my Son (অমুক)!😎"


বিশ্বাস করুন ভাই এটা দেখে আমি আর এই দুনিয়ায় নেই।ইচ্ছে করছিলে গিয়ে বাপজানকে বলি গলাটা টিপে দাও আমার,মরে বাঁচি!😫😩

মজার স্ট্যাটাস

একটা মোবাইল দুই সপ্তাহ আগে স্কুলের সামনে বৃষ্টির মধ্যে হারায় গেছিল 🙂


তো আজকে কিডা যেন ঐ মোবাইল থেকে ফোন দিয়া বলতেছে, 


___অচেনা লোক : ভাই একটা মোবাইল পাইছি, এখানে শরীফ চৌধুরী দিয়া সেভ করা । এডা কার মোবাইল বলতে পারেন…?


___আমি : জ্বী, ভাই এটা আমার মোবাইল । ভাই… মোবাইলটা খুব দরকার ছিলো, যদি দিতেন… 😅 (নাম্বার খেয়াল করে দেখলাম আমার নাম্বার)


____অচেনা লোক : আচ্ছা, ঠিক আছে । আপনি কোথায় আছেন?


____আমি : আমি বাজারে আছি ।


____অচেনা লোক : তাইলে, কালকে সকাল ১০ টায় স্কুলের সামনে এসে নিয়ে যাবেন, আমি কল দিব ।


____আমি : ভাই একটা কথা ছিল…🙂


____অচেনা লোক : বলেন?


___আমি : আপনে দুই সপ্তাহ আগে মোবাইল পাইছেন?🙂


____অচেনা লোক : জ্বী, কেন?


___আমি : দুইটা সপ্তাহ ধরে আমি সাদিয়া, সুমাইয়া, মিম, মেহজাবিনের সাথে মেসেজ করতে পারি না । যদি ওদের ইকটু আই লাভ ইউ মেসেজ করে দিতেন🙂


____অচেনা লোক : তোরে মোবাইল দিমু না হা*লা*র*পু*ৎ 🙂


___আমি : কেন ভাই🙂


____অচেনা লোক : তোর মোবাইলে দেখি আমার ছোট বইনের নাম্বার সেভ করা । তুই ওর লগেও কথা কস?🙂


_____আমি : আর কমু না ভাই, দিয়া দেন ভাই?🙂

মজার জোকস

ফেসবুকে আব্বুর কমেন্ট দেখে চমকে উঠলাম । একটা গ্রুপে লেখা দিয়েছি।


 সেখানে আব্বু কমেন্ট করেছে "ভালো লিখেছেন ভাই"। শেষমেশ নিজের ছেলেকে ভাই বানিয়ে দিয়েছে!


আমিও সেখানে কমেন্ট রিপ্লাই দিলাম "থ্যাংকস "। সাথে সাথে আব্বু কমেন্ট রিপ্লাই দিলো "ভাই আপনার লিখা পড়ে ভক্ত হয়ে গেছি। আপনাকে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠিয়েছি, আশাকরি আপনার লিস্টে যায়গা হবে।" 


চেক করে দেখলাম আব্দুর রাজ্জাক নামে আব্বুর আইডি থেকে রিকুয়েস্ট এসেছে। প্রোফাইলে আমার ছোট ভাইয়ের ছবি দেওয়া। কি করবো ভাবছিলাম।


ভেবে দেখলাম যেহেতু আমি ফেসবুকে ছদ্মনাম ব্যবহার করি আর প্রোফাইলে আমার কোনো ছবি দেওয়া নাই। তাহলে রিকুয়েস্ট একসেপ্ট করতে সমস্যা নেই। আফটার অল, যে আব্বু সারাদিন আমাকে ঝাড়ির উপর রাখে। সে ফেসবুকে আমার ফ্যান। ভেবেই মনের মধ্যে একটা আনন্দ চলে এলো। একসেপ্ট করে দিলাম।


সাথে সাথে দেখি আব্বু আমার প্রোফাইলের কাঁপা কাঁপি শুরু করে দিলো। লাইক আর কমেন্টের ঝড়ে, ফোনের নোটিফিকেশন তুফানের মতন আসতে লাগলো। 


ফোন হ্যাং হয়ে গেলো। মনে হচ্ছিল পাশের রুমে গিয়ে বলি আব্বু তোমার পা ধরি এবার থামো।

যে একটা নষ্ট ফোন চালাই তার উপর তোমার এই নোটিফিকেশনের অত্যাচার থামাও। অনেকক্ষণ পর আব্বু থামলেন। 


রাত ১১ টার দিকে আব্বু মেসেজ দিলেন। "ভাই তুমি মনে হয় আমার ছোট হবে। আমার বয়স আটচল্লিশ চলে। আমার দুইটা ছেলে একটা মেয়ে আছে। আমি তোমাকে তুমি করেই বলি?"


 আমি রিপ্লাই দিলাম "ঠিক আছে সমস্যা নেই।" আব্বু আবার মেসেজ দিলো "কাল কখন গল্প পোস্ট দিবা?" আমি রিপ্লাই দিলাম " সকাল ১০ টার দিকে।"


পরেরদিন একটা গল্প লিখলাম যেখানে একজন বয়স্ক লোক। স্ত্রী, বাচ্চাকাচ্চা থাকার পরেও একজন মহিলার সাথে প্রেমে করে । 


কিন্তু তার স্ত্রী ও বাচ্চাকাচ্চা প্রেম ব্যাপারে জানতে পারলে বয়স্ক লোকটি বলে। তার একাকিত্ব কাটানোর জন্য প্রেম করে, এছাড়া কিছু না।


আব্বু গল্পটি পড়ে আমাকে মেসেজ দেয়। "ভাই, তুমি ঠিক আমার জীবনের গল্প লিখেছ ভাই।আমিও প্রচণ্ড একাকিত্বে ভুগি। আমিও প্রেম করতে চাই ভাই। তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এমন একটা গল্প লিখবার জন্য।" আব্বুর মেসেজ দেখে আমি টাস্কি! কয় কি এইসব।


 দাঁড়াও আম্মুকে যদি না বলি।কিন্তু আম্মুকে বললে সব মজা এখানেই মাটি হয়ে যাবে। তাই আব্বুকে রিপ্লাই দিলাম "ধন্যবাদ, শুনে খুব ভালো লাগলো যে আমার গল্পগুলো আপনার ভালো লাগে।"


 আব্বু আবার মেসেজ দিলো "কাল কখন গল্প পোস্ট দিবা?" আমি রিপ্লাই দিলাম " বিকাল ৪ টার দিকে।"


পরেরদিন এমন একটা গল্প লিখলাম যেখানে বাবা ছেলে মেয়েদের সাথে ঠিকমতন কথা বলে না।তাদের চাহিদার কথা মাথায় রাখে না। ফলে পিতার সাথে তার ছেলেমেয়ের দূরত্ব বেড়ে যায়। পিতার দোষেই এমন হয়। সেটাই ছিল গল্পের বিষয়। 


আব্বুর মেসেজের অপেক্ষা করতে লাগলাম। কিন্তু আব্বুর কোনো মেসেজ আর আসে না। চেক করে দেখলাম আব্বু অনলাইনে এক্টিভ আছে কিনা। দেখি হ্যাঁ আব্বু এক্টিভ। তাই আমি মেসেজ দিলাম "আজকের গল্পটা কেমন লাগলো"।আব্বু একটা লাইক ইমু দিয়ে অফলাইন হয়ে গেলো। 


পরেরদিন বিকালবেলা ঘুমিয়ে আছি।এমন সময় আব্বু এসে ডাকছে। উঠে বসলাম বিছানায়। আব্বু আমার হাতে একটা প্যাকেট দিয়ে বলল এটা তোর জন্য। অনেকদিন থেকেই চাচ্ছিলি।


দিবো দিবো করে দেওয়াই হয়নি। প্যাকেট খুলে দেখি নতুন ফোন। আমার আনন্দ দেখে কে! আব্বুকে বললাম এসো ছবি তুলি। আব্বুর সাথে একটা সেলফি তুললাম। আব্বু চলে গেলে সাথে সাথে সেটা প্রোফাইল পিক করে দিলাম। 


একটুপর আব্বু এসে বলে হারামজাদা তুই সেই " দুরন্ত মুসাফির " আইডি চালাস। আমার কাছে এইভাবে ব্লাকমেইল করে ফোন নিলি। তোর আম্মুরে যদি বিচার না দিছি। 


আমিও আব্বুকে বললাম তুমিও যে অন্য মেয়ের সাথে প্রেম করতে চাও এই বয়সে সেইটার স্ক্রিনশট ও আমার নেওয়া আছে।আমিও আম্মুকে দেখাবো। আব্বু আমার কথা শুনে হেসে বলে "তোর ফোন থেকে ছবিটা আমাকে পার করে দে।আমার প্রোফাইল পিক দিবো।"

,

,

-ব্ল্যাকমেইল

-আদ্রিতা


এমন আরও মজার গল্প পড়ুন।