বিয়ের স্ট্যাটাস

বিয়ের স্ট্যাটাস

এই গল্পপে অনেক শিক্ষা রেয়েছে!

---অন্ধ মেয়েকে বিয়ে দেয়া হবে!

---যদি কোন সুমহান ব‍্যক্তি বিয়ে করতে চান! আমাদের দেয়া নাম্বারে যোগাযোগ  করুন?  


---এমন একটি নোটিশ দেখে ফাহিম অবাক হয়ে যায়। আর ভাবে যাক অবেশেষে বিয়েটা বুজি হয়। 


---এই কথাটি ভাবতে ভাবতে ফাহিম নিজের ফোনে নাম্বারটি তুলে ফোন দেয়। 


---ফোনটি ধরতেই? 


---আসসালামু ওয়ালাইকুম! 


---ওয়ালাইকুম আসসালাম। কে বলতেছেন? 


ফাহিম : আসলে আমি একটি নোটিশ বোর্ডে দেখলাম একটি অন্ধ মেয়েকে বিয়ে দিবে।  তাই ফোন দিলাম।


---ওহ আচ্ছা! হুমম বিয়ে দিবো আমার  মেয়ে সে। 


ফাহিম : আমি বিয়ে করতে চাই।


---বিয়ে করবেন আপনি! কিন্তু আমার মেয়েটা কিন্তু  অন্ধ! আর আমি কোন টাকা পয়সা ও দিতে পারবো না। আমি  খুবেই গরিব। 


ফাহিম : আমি টাকা পয়সা চাইনা।  শুধুমাত্র আপনার মেয়েটাকে চাই। যে আমার বউ হয়ে আমার পাশে সারা জীবন থাকবে। 


---ভেবে চিন্তে বলো। তোমার বাবা মা পরে আবার সমস্যা করবে।


ফাহিম: সত্যি  বলতে আমার বাবা মা নেই? আর আমার বাবা মা কে সেটাও জানি না। 


---এটা আবার কেমন কথা। 


ফাহিম : ছোট থাকায় একজন মহিলা আমাকে রাস্তায়  কুরে পায়। তার পরে নিজের সন্তানের মতো দেখা শুনে করে। আবসোচ কিছু দিন আগে ওনি ও  মা"রা গিয়েছে? 


---ওহ আচ্ছা তুমি  কি করো।


ফাহিম: আমি ইন্জিনিয়ারিং লাইনে পরাশুনা করেছি। এখন একটি প্রতিষ্টানে চাকরি করি। 


---তুমি এতো ভালো  ছেলে একটি অন্ধ মেয়েকে বিয়ে করতে চাও কারনটি কী? 


ফাহিম : আমি চাই একজন অসহায় মেয়ের পিছনে দারাতে।  আমি চাই সে সুখে থাকুক বাকিটা জীবন আমার সাথে। আপনি  আমাকে বিশ্বাস করতে পারেন। আমি কখনো আপনার  মেয়ে কে কষ্ট দিবো না। 


---ভেবে বলতেছো তো। 


ফাহিম : আপনি ১০০% সিহর থাকতে পারেন। 


----ঠিক আছে আমার সাথে রাণীপুকুরের খানপাড়া গ্রামে এসে যোগাযোগ  করুন। আজকেই বিয়ে দিত চাই। 


ফাহিম : ঠিক আছে। 


----এর পরে ফাহিম কয়েক ঘন্টার ভিতরেই  সেই স্থানে অবস্থান করে। এবং মেয়ের বাবার সাথে কথা বলে। সোজা বিয়ে করে চলে যায় কাজি অফিসে। 


---তখন মেয়ের বাবা বলে উঠে। 


---বাবা আমার মেয়েটাকে একটু দেখতে আগে। তার পরে বিয়েটা সম্পুর্ণ করতে। 


ফাহিম: না আমি আমার বউকে বাসর ঘরেই দেখবো। কাজি সাহেব আপনি  বিয়ের কাজ শুরু করুন। 


---তো ফাহিমের এমন কথা শুনে কাজি সাহেব বিয়ের কাজ সম্পুর্ণ করেন। 


---তো এর পরে বিয়ের কাজ সম্পুর্ণ করে ফাহিম যখনি বউয়ের হাত ধরে নিয়ে আসেতে যাবে।  তখন ফাহিম লক্ষ করে যে। তার বউকে নিজে থেকেই পথ দেখে রাস্তা হাটতেছে।  তখন সিহর হওয়ার জন্যে ফাহিম হাতটি ছেরে দেয়। 


--- আশ্চর্য ভাবে দেখে যে বউ নিজে থেকেই আটতেছে।  তখন ফাহিম বলে উঠে। 


ফাহিম : দারান সবাই। 


---তো ফাহিমের কথা মতো সবাই দারিয়ে যায় তৎখানাক। 


ফাহিম : আমাকে  বলা হয়েছে বউ অন্ধ? কিন্তু এখন দেখি বউ বেশ সুন্দর  ভাবে পথ দেখে হাটতেছে। 


---কথাটি শুনেই তমার বাবা বলে উঠে ( তমা হলো বাহিমের বউয়ের নাম )


---আমি কোন মিথ্যা বলিনাই বাবা? 


ফাহিম : আপনি বলেছেন আপনার  মেয়ে অন্ধ কিন্তু  এখন দেখি  সব দেখে। আপনি কেনো আমাকে ঠগাইলেন। 


---সত‍্যি বলতে বাবা আমার মেয়ের বয়স যখন ৫ বছর তখন থেকে সে। কোন পর পুরুষের মুখ দেখেনি শুধুমাত্র  আমার ছারা। সে পর্দ করতে খুব ভালোবাসতো। তাই চার দেয়ালের মাঝে বন্ধি ছিলো। এখন যখন মেয়েটির বিয়ে দিবো তখন ভাবলাম এই মেয়েকে কার সঙ্গে বিয়ে দিবো। কে তার উপযোগী হবে। তখন আমার মেয়ে এই বদ্ধিটি দেয়। যে বাবা একটি কাগজে লিখে দাও যে কেউ অন্ধ মেয়ে কে বিয়ে করবে নাকি।  এই পোস্টার দেখার পরে অনেক লোক ফোন দিয়েছে। কিন্তু সবাই বলেছে অন্ধ মেয়ে কে বিয়ে করবো কিন্তু /10 / 12 /15 লক্ষ টাকা লাগবে। এটা শুনে সবাই কে বাদ দিয়েছি। আমি চেয়েছি একজন সৎ মানুষ  কে।  কিন্তু তোমার  সাথে কথা বলার পরে বুজলাম তুমি  একজন সৎ মানুষ ও অনেক ভালো  । তখন বুজলম তুমি  আমার মেয়ের উপযোগী পাত্র।  


--তখন তমা বলে উঠে? 


তমা : আসসালামু ওয়ালাইকুম প্রিয় স্বামী  আমার বাবা কে এবং আমাকে মাপ করবেন। 


---তখন ফাহিম সবজা বুজতে পেরে। সব কিছু মেনে নেয়। আর বলে?


ফাহিম : আল্লাহ্  আমার কপালে এতো ভালো  একটি মেয়ে রেখেছে সত্যি  ভাবতে পারিনাই। ইনশাআল্লাহ  আমার বউকে হেফাজত রাখবো সব সময় । 


---ফাহিমের এমন কথা শুনে সবাই ভিষন খুশি হয়। আর গল্পটি এখানেই শেষ হয়। 


-অনুগল্প 

-বিয়ে

-হাসিব


এমন আরও অনেক গল্প পড়ুন।