ভালোবাসা কষ্টের স্ট্যাটাস

ভালোবাসা কষ্টের স্ট্যাটাস

বিয়ের রাতে বাসর ঘরে ডুকতেই দেখি নিলা আমাকে মেসেস  দিয়েছে। ( নিলা আমার বেস্ট ফ্রেন্ড) 


নিলা ঃ আজ তোর বাসর রাত তাই না?  কত বড় হয়ে গেলি এইতো সবে মাএ কয়েকদিন আগে একসাথে ইউনিভার্সিটিতে এডমিশন নিলাম আর সেই দিন থেকে শুরু হয়েছিল তোর সাথে আমার সম্পক🙂


আকাশঃ  কিরে কি হয়েছে তোর এইসব বলছিস কেন?  


নিলা ঃ না এমনি আজকে একটু বেশিই  মনে পড়ছে। যা তুই তোর বউ এর কাছে, হয়তো অপেক্ষা করতেছে তুই এখন অনেক বিজি থাকবি আমার সাথে আর আগের মতো কথা বলার সময় কই?


আকাশ ঃ কি সব শুরু করলি।  আচ্ছা থাক পড়ে মেসেস দিবো আমি।


নিলা ঃ হুম যা। 


বাসর রাতের পরের দিন আকাশ নিলাকে কোন কল বা মেসেস করে নি এভাবে কেটে যায় প্রায় ৩ বছর।  হঠাৎ করে এমন একটা সম্পক নষ্ট করে দিবে আকাশ এটা নিলার জানা ছিলো না। 


নিলা আর আকাশ অনেক ভালো বন্ধু ছিলো কিন্তুু হঠাৎ ই আকাশের বাবা আকাশ কে বিয়ে দিয়ে দেয়। নিলা আকাশ কে তার বেস্ট ফ্রেন্ড এর চেয়েও অনেক বেশি কিছু ভাবতো। আকাশকে নানা ভাবে সাহায্য করতো এমনকি তার পড়াশোনার খরচ তার হাত খরচ পযন্ত নিলাই দিতো।। ইউনিভার্সিটিতে থাকা অবস্থা নিলা প্রায় সময় আকাশের সাথে ঘুরতে যেত অনেক আড্ডা ফাজলামি করতো দুইজন। নিলা আকাশ কে এক প্রকার আগলে রাখার মতো নজরে রাখতো।


৩ বছর পর আকাশ নিলাকে কল করলো।


আকাশ ঃ কিরে বুড়ি? ( নিলাকে আকাশ আদর করে বুড়ি বলে ডাকতো) 


নিলা ঃ কে চিনতে পারলাম না?  ( নিলা চিনতে পেরেছে কিন্তুু অভিমানের জন্য নিলা এমন করে কথা বলছে)


আকাশ ঃ আমি তোর সেই মানুষ যার কাছে থেকে তুই সবচেয়ে বেশি কষ্ট পেয়েছিস। 


নিলা ঃ আমাকে কেউ কখনো কষ্ট দিতে পারে না আমি আমার মতো থাকি 


আকাশ ঃ জানিস আমি যাকে বিয়ে করেছিলাম সে আর পৃথিবীতে নেই আমার একটা মেয়ে হয়েছে তাকে নিয়েই আজ আমি বেঁচে আছি।( কি বলবো এইসব ছাড় তোর কথা বল কেমন আছিস বিয়ে কোথায় করলি)


নিলা ঃ শুনে খুব কষ্ট পেলাম।  আমার অবস্থা ভালো আর আমি বিয়ে করি নি নিজের জীবন এভাবেই কাটিয়ে দিবো যে ভাবে এই ৩ টা বছর কাটালাম🙂


আকাশ ঃ যার ভাগ্যে যা আছে তা হবেই কেউ তা নষ্ট করতে পারবে না তবে আমার টা মনে হয় একটু বেশিই খারাপ ছিলো।  ছোট একটা মেয়ে কে নিয়ে কিভাবে থাকবো কি করবো বুঝতেই পারি নাহ। 


নিলা ঃ তোর কি মনে আছে তুই যখন কোন কিছু ডিসাইট করতে পারতি না আমি সেইটা বলে দিতাম?  মনে আছে তোর?


আকাশ ঃ হুম কেন থাকবে না সব মনে আছে ( কান্না কান্না কন্ঠে)


নিলা ঃ এর জন্যই নতুন বিয়ে করে বেস্ট ফ্রেন্ড কে ভুলে গেলি আর ৩ টা বছর কোন খবর নিলি না? 


আকাশ ঃ চুপ করে থাকলো। 


একদিন আকাশ নিলাকে আবার কল দিয়ে বললো নিলা অনেক দিন তোর সাথে আমার দেখা হয় না যদি একটু পারিস আমার সাথে দেখা করিস। 


নিলা ঃ আমি কেন তোর সাথে দেখা করবো আমি তোর কেউ না? 


আকাশ ঃ জীবনের লাস্ট বার দেখা করবো হয়তো...... 


নিলা ঠিক জায়গা মতো পৌছে গেল।। 


আকাশ আসলো নিলা কে দেখে তাকিয়ে আছে কি অবস্থা ওর যে কিনা ভার্সিটির মধ্যে সেরা সুন্দরী দের একজন ছিলো তার আজ কি অবস্থা,,,,,৷  


নিলা ঃ এইভাবে তাকিয়ে আছিস কেন আর সাথে এটা কে নিশ্চই তোর মেয়ে তাই না। মাশাআল্লাহ অনেক সুন্দরী। 


নিলাঃ কত!! গুলুমুলু কিউট মেয়ে তোর অনেক সুন্দরী হয়েছে কেমন হয়েছে রে দেখতে? তোর মতো না কি তোর বউ এর মতো?  


আকাশঃ তুই দেখে বুঝে নেহ কার মতো হয়েছে তুই তো এগুলো ভালো বলতে পারবি আগে কত মানুষ কে দেখে বলে দিতি যে এ ওর মতো ও তার মতো।  এখন আমার মেয়ে কে দেখে বলতে পারছিস না যে ও কার মতো হয়েছে?


নিলা ঃ ওকে দেখতে তো তোর মতোই লাগে আমার কাছে তুই যেমন সুন্দর ছিলি তেমনি তো তোর মেয়ে কে লাগতেছে।


আকাশ ঃ তোর মা বাবা কি এখন গ্রামে চলে গেছে?  তুই এখন কোথায় থাকিস? 


নিলা ঃ হুম বাবা মা কে গ্রামে পাঠিয়ে দিয়েছি। আমি থাকি কোন এক জায়গায়। 


আকাশ ঃ কেন ঠিকানা বলতে কি ভয় পাচ্ছিস?  যদি আমি চলে যাই এর জন্য? 


নিলা ঃ না এমন কোন কিছু নাহ। 


আকাশ  আর নিলা বেশ কিছু সময় কাটালো সাথে আকাশের মেয়ে ছিলো।  হঠাৎ পেছন থেকে একটা ছেলে নিলা নিলা বলে চিৎকার করতে করতে তাদের দেখা করার জায়গায় চলে আসে।। 


ছেলে টিকে আকাশ কখনো দেখে নি এই ১ম তাকে দেখলো আকাশ চিনতে পারছে না। নিলা চুপ করে বসে আছে আর ছেলেটির দিকে তাকিয়ে আছে। 


সামি ঃ নিলা তুমি এখানে কি করছো তোমাকে দেখে সেই কত দূর থেকে ছুটে আসলাম নিলা নিলা করতে করতে ( ছেলেটির নাম ছিলো সামি)


নিলা ঃ ওও ঠিক আছে বসো পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি আমি? 


সামি ঃ কি বেপার নিলা এতো বাচ্চা কাচ্চা নিয়ে একটা বুড়ো লোক এর সাথে তুমি বসে আছো কেন?  নিলা এটাও কি আমাকে দেখতে হবে? 


নিলা ঃ চুপ করো সামি ্।। ( তোমার ইচ্ছে হলে বসতে পারো না হলে চলে যাও)


আকাশ চুপ করে কথা গুলো শুনছিল আর নিলার দিকে তাকিয়ে ছিলো। 


সামি ছিলো নিলার বাসার মালিক এর ছেলে ৩ বছর যখন আকাশের সাথে তার কোন কথা হতো না তখন তার সাথে নিলার পরিচয় হয়েছিল সামি ছেলে টা বেশি ভালো না অন্য রকম লুক দেয় নিলার দিকে।  নিলা সামির সাথে সাধারণ ভাবে বন্ধত করেছিলো এতোও  কাছের বন্ধু ছিলো না তারা।

নিলা ঃ সামি আকাশ আমার বেস্ট ফ্রেন্ড ওর সাথে পরিচয় হয়ে নাও। 


আকাশঃ হাই সামি। 


সামি ঃ হ্যালো।। 


সামি চলে গেল আর কোন কথা বললো না।  সামি নিলার কথায় অনেক রাগ করেছে তার জেদ ছিলো অনেক।  সামি ভাবে নিলা হয়তো আকাশ কে অনেক ভালোবাসে ( সত্যি তাই)  তাই তার আকাশের উপর একটা রাগ সৃষ্টি হয়।  নিলার উপর অত্যাচার করার চেষ্টা করে সামি। 


এই দিকে নিলার কথা বলা শেষ এখন আকাশের কাছে থেকে বিদায় নিবে নিলা।।। আকাশের মেয়ে ( ও নাম বলতে ভুলে গেছি ওর নাম ছিলো মায়া)  মায়া কে অনেক আদর করে নিলা চলে যেতে লাগলো। 


আকাশের চোখ পানিতে টলমল করছে কিন্তুু কি করবে কিছুই বলতে পারছে না। 


কিছু দূর যেতেই নিলাম সামনে একটা বাইক এসে নিলার হাত ধরে টানা টানি শুরু করে মুখ আটকানো ছিলো নিলা দেখতে পারে নি হঠাৎ নিলা অচেতন হয়ে পড়ে। 


অনেক সময় পর নিলা তাকে একটা বদ্ধ ঘরে আবিষ্কার করে আসে পাশে কেউ নেই নিরিবিলি শুনশান।। 


নিলা দেখলো কয়েকটা ছেলে মদ খাচ্ছে আর আড্ডা দিচ্ছে সে অনেক ভয় পেলো কোথায় সে কি করবে এখন ভাবতে থাকলো কিন্তু কোন উপায় খুঁজে পেল না নিলা। 


কিছু সময় পর নিলা আবাক হয়ে দেখলো তাকে সামি কিডনাপ করে নিয়ে এসেছে। 


সামি ঃ কিরে তোর অনেক পাওয়ার হয়ে গেছে তুই ছেলেদের সাথে ঘুরে বেড়াস আজকে তোকে দেখে নিবো আমার অনেক দিনের ইচ্ছে আজ পূরন হতে যাবে।


নিলা ঃ আমার বুঝতে বাকী নেই তুই কি করবি আমি আগে জানতাম তুই আমার বন্ধু হতে পারিস না তুই একটা নর পশু। 


এগুলো বলে সামি নিলার উপর নর পশুর মতো অত্যাচার করতে থাকলো এর পর তার বন্ধুদের দিয়েও নিলাকে রেপ করাতে থাকে সামি। 


সব কিছু শেষ  নিলাকে বাসায় নিয়ে আসে নিলা অনেক ভয় পেয়ে যায় আর সে কাউকে কিছু বলবে না বলে প্রতিসুতি দেয় সামিকে। সামি তাকে মেরে ফেলবে এইসব কিছু বললে,,, 


বেশ কয়েক দিন পর আবার আকাশ এর ফোন নিলা ধরতে চায় নি কিন্তু না ধরেও থাকতে পারে না। 


আকাশ ঃ  দেখা করতে চাই নিলা তোর সাথে?


নিলা ঃ কোন কিছু না ভেবে বলে দিল ঠিক আছে!  আগের জায়গায় চলে আসিস) 


আকাশ আর নিলা তাদের দেখা করার জায়গায় চলে আসলো নিলা আকাশ কে দেখে সোজা জড়িয়ে ধরলো আর আকাশ ও তাকে জড়িয়ে ধরলো,,, 


নিলা বলতে লাগলো,,,,,,৷  


গল্প-অপ্রকাশিত_ভালোবাসা_

_আকাশ_আহমেদ 

পর্ব ১

গল্প-অপ্রকাশিত_ভালোবাসা__

_আকাশ_আহমেদ

পর্ব ২শেষ 

নিলা আকাশের সাথে দেখা করে বলতে লাগলো,,, 


নিলা ঃ আকাশ আমার সব শেষ হয়ে গেছে।  ভেবেছিলাম তোর মতো কাউকে জীবনে পাই নি তাই একাই এই জীবন টা কাঠিয়ে দিবো কিন্তুু একটা নর পশু আমার জীবন টা শেষ করে দিল। আমি আর বাঁচতে চাই নাহ,,,  আমি আর বাঁচতে চাই না। ( কান্না  কন্ঠে)


আকাশ ঃ কিছু না বুঝে তাকিয়ে থাকলো।  


নিলা ঃ আমার জীবনের সব চেয়ে দামি জিনিস টা আজ ওই শয়তান আমার কাছে থেকে নিয়ে গেছে।


আকাশ ঃ ওফ থাম এবার বল কি হয়েছে কান্না থামা আগে তার পর বল?  প্লিজ কান্না থামা আর বল কি সমস্যা তোর কে কি করেছে। 


নিলা ঃ ( কান্না থামিয়ে)  আকাশ সামিকে তো চিনিস? ঔ যে সেই দিন এসেছিল?


আকাশ ঃ হুম। ওকে দেখে আমার একদমই ভালো লাগে নি কিন্তুু কি হয়েছে তোর সাথে ওর বল তো ঠিক করে? 


নিলা ঃ সামি আমার সাধারন বন্ধু ছিলো মানে আমি ওরে সাধারন একজন বন্ধু ভাবতাম কিন্তু ও আমাকে কখনোই ভালো চোখে দেখে নি আমাকে ভোগ করতে চেয়েছে সব সময়। 


আকাশ ঃ কি বলছিা এই সব তুই? 


নিলা ঃ এর পর একদিন তোর সাথে দেখা হলো আমি একটু রাগ দেখিয়ে ছিলাম বলে আমাকে জোড় করে তুলে নিয়ে যা ইচ্ছে করেছে নর পশুর মতো আমাকে অত্যাচার করে ছে ওর বন্ধু রা আমার সাথে ওর মতোই অত্যাচার করেছে এখন আমি একজন ধষিতা নারী।


আকাশ এই কথা শুনে চমকে উঠলো আর তোর চোখ দিয়ে তার নিজের অজান্তে এক ফোটা পানি গড়িয়ে পড়তে থাকলো। আকাশ কখনো ভাবে নি নিলার সাথে এমন কোন কিছু হবে।


নিলা ঃ আমি আর বাঁচতে চাই না আমার মতো নারীর বাঁচার অধিকার নেই।  তুই ভালো থাকিস আর তোর মেয়ে কে দেখে রাখিস। 


আকাশ ঃ ( কোন কথা বললো না চুপ করে বসে আছে) 


নিলা চলে গেলো কান্না করতে করতে। 


২/৩ দিন কেটে গেলে আকাশ নিলার সাথে কথা বলে নি।।।। 

নিলা রাগের মাথায় নিজেকে হত্যা  করতে গিয়েও পারে নি। 


আকাশ সামিকে একটু চিনতো মাএ গুটি কয়েকবার দেখা হয়েছে তাদের তাই বেশি পরিচিত ছিলো না। 


একদিন আকাশ সামির বাড়ির গেটের সামনে লুকিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে আর তার জন্য অপেক্ষা করে।

আকাশ তার রাগের সব টা আজকে সামির উপর দিবে বলে আগে থেকে কল্পনা করে রেখেছে।  সামি গেট থেকে বের হতেই তার মাথায় একটা রড দিয়ে বাড়ি দিয়ে চলে যায়।  পরে জানা যায় সামির মাথায় অনেক আঘাত পাওয়ার কারনে তার মৃত্যু হয়।  


এই ঘটনা নিলা শুনতে পারে এবং নিলা বুঝতে পারে এই কাজ টা আকাশ ছারা আর কেউ করে নি তাই আকাশ কে পুলিশ এর থেকে বাঁচানোর জন্য তার কাছে চলে যায় ৩/৪ দিন পর দেখা হয় আকাশ এর সাথে। 


আকাশ ঃ তোর সাথে কোন অন্যায় আমি কখনো মেনে নিতে পারিনি আজো পারি নি জানি না আমার কি হবে তবে তোর জন্য আমি সব কিছুই করতে পারি।


নিলা ঃ এভাবে পাগলামী করতেকে বলেছে তোকে যদি পুলিশ এসে তোকে নিয়ে যায় তাহলে তোর মেয়ের কি হবে একবার ভেবে দেখেছিস। 


আকাশ ঃ আমার কিছু হলে তুই ওকে দেখে রাখবি।


নিলা আর আকাশ কথা বলতে বলতে এক সময় দেখলো তাদের দিকে পুলিশ এর কয়েকজন আসছে,,,,,,, 


নিলা আর আকাশ কথা বলতে বলতে হঠাৎ পুলিশ আসে।  


পুলিশ ঃ আকাশ সাহেব আপনাকে আমাদের সাথে থানায় যেতে হবে। আপনার নামে আমরা একটা কমপেলন পেয়েছি।  এখনি আপনাকে আমাদের সাথে যেতে হবে।


আকাশ চুপ করে থাকলো নিলা তো বুঝে গিয়েছে পুলিশ কেন আকাশ কে ধরতে এসেছে।  পুলিশ আকাশ কে নিয়ে থানায় চলে যায়।  নিলা কান্না করতে থাকে কি করবে কিছু বুজে উঠতে পারছে না।  


( নিলার বাবা পুলিশ এর বড়ো একটা পোস্ট এ ছিলো)  নিলা তার বাবার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে সেই দিন থেকে যেদিন আকাশ এর বিয়ে হয়েছেছিল। 


নিলা কিছু না ভেবে অনেক দিন পর তার বাবাকে কল করে।  


নিলা ঃ বাবা! বাবা! বাবা,!( কান্না কান্না কন্ঠে)


বাবাঃ মা তুই এতো দিন কোথায় ছিলি কেমন আছিস কোন যোগাযোগ রাখিস নি কেন ( এভাবে নানা রকম কথা বলতে থাকে)


নিলা তার বাবাকে সকল কিছু খুলে বলে আকাশ এর কথা৷  নিলার বাবা আকাশ কে অনেক আগে থেকে চিনতো যখন তারা ভার্সিটিতে পড়াশোনা করতো তখন থেকে।


বেশ কিছু দিন পর অনেক ঝামেলা সয্য করে থানা থেকে নিলা আর তার বাবা গিয়ে আকাশ কে ছাড়িয়ে নিয়ে আসে।


আকাশ তার পরিবার এর কাছে ফিরে যায় আর তার মেয়ের সাথে অনেক সময় কাটায় এক সাথে। 


২ দিন পর। 


নিলা আকাশ এর বাড়িতে আসে তার সাথে দেখা করতে আকাশ তখন বাড়িতে ছিলো না। 


নিলা অনেক খোঁজা খুজি করে বাড়িতে ফিরে যায়। 


নিলা আকাশ কে ফোন করে আকাশ কোথায় আছে তা জানার জন্য কিন্তুু ফোন ও ধরছে না আকাশ।  কি এমন হলো আকাশ ফোন ধরছে না কেন?  নিলা অনেক চিন্তায় পড়ে যায়।  নিলা আবার আকাশ এর বাড়ি গিয়ে তাকে খুজতে থাকে।


আকাশ এর বাবা মা মেয়ে কে নিয়ে নিলা আকাশদের বাড়িতে অপেক্ষা করছে। সবাই ভাবছে আকাশ হয়তো কোথায় চলে গেছে তাদের না জানিয়ে কিন্তুু এমন টা তো হওয়ার কথা নয় নিলাকে না জানিয়ে আকাশ কোথায় যাবে।  সবাই অনেক চিন্তা করছে আকাশ কে নিয়ে। 


হঠাৎ একটা কল আসলো আকাশ এর বাড়ির ফোন নাম্বার এ, কল টা নিলা রিসিপ করতেই


অপরিচিত ঃ আপনি কি আকাশ নামে কাউকে চিনেন? 


নিলা ঃ হুম আকাশ কোথায় ওকে খুজতেছি আমরা অনেক সময় হলো আকাশ বাসায় আসে নি।  ও যদি আপনার কাছে থাকে তাহলে একটু বলবেন ওর জন্য ওর মেয়ে অনেক কান্না করছে ওর পরিবারের সবাই অনেক চিন্তা করছে। 


অপরিচিতঃ আপনাকে দুঃখের সাথে জানানো যাচ্ছে আকাশ সাহেব একটু আগে রোড এক্সিডেন্ট এ মারা গিয়েছে।


নিলা কথা শোনা মাএ একটা চিৎকার দিয়ে ফোন ফেলে দেয় পরিবার এর সবাই নিলাকে দেখে আরো জোরে কান্না শুরু করে দেয়। 


প্রায় ৩ ঘন্টা পর। 


আকাশ এর দেহ একটা গাড়িতে করে নিলা আর তার পরিবারের সামনে নিয়ে আসে কয়েকজন লোক। 


নিলা অনেক কান্না করে আকাশ কে দেখে ( নিলা চেয়েছিল সব সমস্যা শেষ করে তার অপ্রকাশিত ভালোবাস আকাশ এর কাছে প্রকাশ করে দিবে)  কিন্তু তা আর হলো কোথায়? 

আকাশ এর ছোট মেয়ে টা কি অঝরে কান্না করছিল। 

তার দেহ কে মাটি চাপা দিয়ে সবাই চলে এসেছে। 


---------------


নিলা আজো তার অপ্রকাশিত ভালোবাসাকে প্রকাশ করতে পারে নি।  নিলা এখন আকাশ এর মেয়ে কে নিয়ে একটা শহরে থাকে।  


সমাপ্ত


ভালোবাসার গল্প পড়ুন।